এমন পরিস্থিতিতে শীত মৌসুমে জ্বালানির দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে বাড়তি খরচ গুণতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তবে ডিসেম্বরের শেষে ব্রিটেনের সার্বিক মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমলেও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদ হার কমেনি।
নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি সর্বনিম্ন ২ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও ব্যাংক সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত নেই। এমনকি চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি।
ব্রিটেনের অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর ওসামা খান বলেন, ‘যদিও মূল্যস্ফীতি হার এখন কমে এসেছে। আমার ধারণা, একই হারে সুদের হার কমানো হবে না।’
ব্রিটেনে বর্তমানে ব্যাংক সুদের হার বেড়ে ৫.২৫ শতাংশ হওয়ায় বাড়ি কিনে বিপাকে পড়েছেন ব্রিটিশরা। এর সঙ্গে লন্ডনের মতো বড় শহরগুলোতে বাসা ভাড়াও বেড়েছে। ২০২৩ সাল ব্রিটেনের জন্য অর্থনৈতিক একটি চ্যালেঞ্জের বছর ছিল। ২০২৪ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা করছেন সবাই।
টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ব্রেক্সিটকে দায়ী করছেন অনেকে। এক জরিপে ৫৬ শতাংশ ব্রিটিশ মনে করেন ইউরোপ থেকে বেরিয়ে আসা ব্রিটেনের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
এদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে আনতে সহায়ক পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অর্থমন্ত্রী জেরমি হান্ট। অন্যদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টির দাবি, কনজারভেটিভ পার্টির অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের খেসারত দিচ্ছে জনগণ। এ অবস্থায় চলতি বছর খরচের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।