দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর্জেন্টিনা। দেশটির জনগণের প্রধান খাবার গরুর মাংস, সঙ্গে আলু সেদ্ধ ও গমের রুটি। পাশাপাশি আর্জেন্টাইনবাসীর আরেক পছন্দের খাবার বিফ স্টেক।
আর্জেন্টিনার কৃষি উৎপাদন ও বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা রোসারিও গ্রেইনসের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে দেশটির মানুষ গড়ে মুরগির মাংস খেয়েছেন ৪৯.৩ কেজি। গরুর মাংস খাওয়ার পরিমাণ ৪৮.৫ কেজি।
ক্রেতারা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। গরুর মাংসের মতো খাবার সাধারণ মানুষের জন্য এখন বিলাসী পণ্য। আর বিক্রেতারা বলছেন, গেল কয়েক মাসে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে মুরগির মাংসের দ্বিগুণ।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘পরিবারের ভরণপোষণের জন্য আমি তিনটি চাকরি করছি। তবুও, প্রতিদিন গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য নেই। গরুর মাংস এখন বিলাসিতা হয়ে গেছে। তাই মুরগির মাংস কিনছি।’
আরেকজন বলেন, ‘মুরগির চাহিদা বেড়েছে। গরুর মাংসের কিমা বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার পেসোতো। মানুষ তাদের খরচের ব্যাপারে খুব সতর্ক। বেতন কম হওয়ায় মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে।’
এখনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছে জনগণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটে পরিবর্তন এসেছে মানুষের খাদ্যাভ্যাসেও। সংকট মোকাবিলায় সস্তা খাবারের দিকে ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। ১৮ মাস ধরে মাঠে গবাদিপশুর যত্ন নেওয়া সহজ নয়। আপনাকে এটি আর্থিকভাবে টিকিয়ে রাখতে হবে। আজ, এক কেজি গরুর মাংসের দাম দিয়ে, আমরা তিন কেজি আস্ত মুরগি কিনতে পারি।
গেল বছর আর্জেন্টিনার মূল্যস্ফীতির হার ছুঁয়েছে ১০০তে। যা নিয়ন্ত্রণে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। জনগণের জন্য যেসব আর্থিক প্রণোদনা, ভাতা ও পেনশন প্রকল্প ছিল, সেগুলোও প্রায় সবই বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। বাড়ানো হয়েছে করের হারও।