প্রত্যেক সিরিজের মতো এই আইফোনের সিরিজেও থাকছে ৪টি মডেল। উন্মোচিত হয়েছে নতুন সিরিজের এয়ারপড ও অ্যাপল ওয়াচও।
আইফোন সিক্সটিনের সাথে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও টিম কুক। ছবি: সংগৃহীত
সবুজ ঘাসের বুকে নেমে এসেছে রঙধনু। সোনালী আলোর নিচে দাঁড়িয়ে আছেন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। অপূর্ব এক আবহ সৃষ্টি করে এভাবেই বিশ্ববাসীর সামনে নতুন আইফোন সিক্সটিন উন্মোচন করলেন টিম কুক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মানুষের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা ও যন্ত্রের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন অ্যাপলের সিইও। তিনি বলেন, 'গেল জুন মাসে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স বাজারে আনার মাধ্যমে এআই এর দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করে অ্যাপল।'
আইফোন সিক্সটিন অ্যাপলের প্রথম ডিভাইস যা সরাসরি অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর। এই সিরিজের আইফোনের সক্ষমতা অতীতের যে কোনো অ্যাপল ডিভাইসকে ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
এদিন শুরুতে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ টেন উন্মোচন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ ডিসপ্লে স্ক্রিন বাড়ানো হয়েছে নতুন সিরিজে। ওজনে আগের চেয়ে আরও হালকা অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ টেন। এছাড়া খেলোয়াড়দের জন্য আনা হয়েছে অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা টু। একই দিনে উন্মোচিত হয়েছে অ্যাপল এয়ারপড টু ও এয়ারপড ম্যাক্স হেডফোনও।
অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ টেন। ছবি: সংগৃহীত
সবশেষে উন্মোচন করা হয়, মানুষের আগ্রহের তুঙ্গে থাকা আইফোন সিক্সটিন। ৬ দশমিক ১ ও ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চির দুটি আলাদা ভার্সনে পাওয়া যাবে আইফোন সিক্সটিন। অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা দিতে ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে এ-১৮ মডেলের চিপ। সেকেন্ড জেনারেশনের এই বিশেষ চিপটির কারণে এআই ফিচার ব্যবহারে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।
আইফোন ১৬ এর ডিজাইন সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এর ক্যামেরা অ্যালাইনমেন্ট। ১২ মেগা পিক্সেলের টু এক্স টেলিফোটো লেন্স ও ৪৮ মেগাপিক্সলের আলট্রাওয়াইড লেন্সের ফিউশন দেখা যাবে আইফোন সিক্সটিনে। এইচ ডি আর সেটিং এ সিক্সটি ফ্রেম পার সেকেন্ড রেটে ভিডিও করা যাবে ৪কে রেজ্যুলুশনে। আইফোন সিক্সটিনে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ছবি থেকে ভিডিও, ভিডিও থেকে ছবি বানানো যাবে খুব সহজে। এআই ক্যামেরা দিয়ে যে কোন দোকান বা রেস্তোরাঁর ছবি তোলার সাথে সাথে সামনে আসবে সেটির নাম ও বিস্তারিত তথ্য।
আইফোন ১৬ সিরিজ। ছবি: সংগৃহীত
আইফোন ১৫ সিরিজের তুলনায় আইফোন ১৬ সিরিজের প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেলে ২ ইঞ্চি বড় ডিসপ্লে পাবেন ব্যবহারকারীরা। এছাড়া, প্রো ম্যাক্স মডেলের ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চি স্ক্রিন আইফোনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে।
হালকা ও গাঢ় দুই ধরণের রঙের বৈচিত্র থাকছে আইফোন সিক্সটিনে। এরমধ্যে, গোলাপি, আল্ট্রামারিন, হোয়াইট ব্ল্যাক, টিল অন্যতম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আইফোন সিক্সটিন ১২৮ জিবি, দাম পড়বে ৭৯৯ ডলার। আইফোন সিক্সটিন প্লাস ১২৮ জিবি, ৮৯৯ ডলার।
অ্যাপল এয়ারপডস ফোর প্রো'র দাম পড়বে ১২৯ থেকে ১৭৯ ডলার। অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা টু'র মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ৭৯৯ ডলার। আর অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ টেন কিনতে খরচ হবে ৩৯৯ ডলার।