বিশ্বজুড়ে অ্যাপল ভক্ত ও বিনিয়োগকারীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন আইফোন ১৭ এর জন্য। ধারণা করা হচ্ছিল, আইফোন ১৫ এবং ১৬ এর ধারাবাহিক সফলতার পর আইফোন ১৭ প্রযুক্তি জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। কিন্তু তা ঘটেনি।
লঞ্চ ইভেন্টে দেখানো নতুন আইফোন ১৭ মডেলটি প্রত্যাশিত উদ্ভাবন আনতে ব্যর্থ হয়। হার্ডওয়্যার আপগ্রেডের অভাব, ডিজাইনে নতুনত্বের অভাব এবং প্রতিযোগীদের তুলনায় পিছিয়ে থাকা ফিচারে হতাশ হয়ে পড়েন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে ক্যামেরা প্রযুক্তিতে সীমিত উন্নতি, ব্যাটারি লাইফের উন্নতি না হওয়া এবং উচ্চ মূল্য ট্যাগ থাকা সত্ত্বেও কোনো বিপ্লবী বৈশিষ্ট্য না থাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন:
লঞ্চ ইভেন্ট শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অ্যাপলের শেয়ার মূল্যে ধস নামে। স্টক এক্সচেঞ্জে অ্যাপলের শেয়ার প্রায় ৭ শতাংশ কমে যায়। এর ফলে কোম্পানিটি ১১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যারা আইফোন ১৭ থেকে বড় ধরনের চমক আশা করেছিলেন, তারা দ্রুত তাদের শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন।
এ ধাক্কা অ্যাপলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রশ্ন উঠেছে অ্যাপল কি তার উদ্ভাবনী ক্ষমতা হারিয়েছে? নাকি এটি কেবল একটি সাময়িক পিছলে যাওয়া? কোম্পানিকে এখন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং বাজারের প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে।
টিম কুক এবং তার দলকে এখন নতুন করে ভাবতে হবে তাদের পণ্য কৌশল নিয়ে। অ্যাপলকে মনে রাখতে হবে, শুধু ব্র্যান্ড ভ্যালু দিয়ে প্রযুক্তি বাজারে টিকে থাকা কঠিন। যদি না প্রতিনিয়ত উদ্ভাবন এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। আইফোন ১৭ এর এ ব্যর্থতা অ্যাপলের জন্য একটি কঠিন শিক্ষা। যা তাদের ভবিষ্যতের পথচলাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে পারে।





