দুবাই ভিত্তিক টেলিগ্রামটি রাশিয়ান বংশোদ্ভূত দুরভ প্রতিষ্ঠা করেন। রাশিয়ার জনপ্রিয় তার ভিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরকার বিরোধী পোস্ট বন্ধ করার দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দেয়। ২০১৪ সালে রাশিয়া সরকারের চাপের মুখে পড়ে রাশিয়া ত্যাগ করে দুরভ।
এক্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মার্কিন সাংবাদিক কার্লসনের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিও সাক্ষাত্কারের বরাত দিয়ে পাভেল দুরভ বলেন, 'আমরা সম্ভবত টেলিগ্রামে এক বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী অতিক্রম করব। বতর্মানে টেলিগ্রাম দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।'
ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী দুরভের সম্পদের পরিমাণ ১৫.৫ বিলিয়ন ডলার। দুরভ বলেন, 'কিছু সরকার তাকে চাপ দিতে চেয়েছিল, কিন্তু টেলিগ্রামের এখন ৯০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। এটি একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে থাকা উচিত। ভূ-রাজনীতির খেলোয়াড় হিসেবে থাকবে না।'
টেলিগ্রামের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মেটা। হোয়াটসঅ্যাপের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটির বেশি। গত মার্চে ফিনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রাম লাভের পর্যায়ে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ার তালিকাভুক্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে।
টেলিগ্রাম যা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রজাতন্ত্রগুলোতে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং উইচ্যাটের পরে অন্যতম প্রধান প্রভাবশালী সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসাবে স্থান পেয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পরে টেলিগ্রাম যুদ্ধ এবং সংঘাতকে ঘিরে রাজনীতি সম্পর্কে উভয় পক্ষের অপরিশোধিত এবং কখনও কখনও গ্রাফিক এবং বিভ্রান্তিকর সামগ্রীর প্রধান উত্স হয়ে উঠেছে।