যেখানে একইসঙ্গে নানা রঙের লেখালেখি, ছবি আঁকা, টিভি দেখা, সিনেমা দেখা ও কম্পিউটারের সকল কাজসহ হাজারো সুবিধা রয়েছে। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ শিশুদের মাঝে ডিজিটাল এই বোর্ডের ফলক উন্মোচন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদেশে যে ধরনের বোর্ড ব্যবহার করা হয় এবার তারা সেটা পেয়েছে। এতোদিন চক দিয়ে লিখতে হতো, এখন কলম দিয়ে লিখতে পেরে আনন্দিত তারা। আজ তাদের খুশির দিন।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতের নাগালে স্মার্টবোর্ডের মতো চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সরবরাহ তাদের ভবিষ্যতকে আরও দীপ্তিময় করে তুলবে। এ বোর্ডের মাধ্যমে পুরনো চক-ডাস্টারের পরিবর্তে শ্রেণিকক্ষ কম্পিউটর প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে।
শিক্ষকরা বলেন, ‘ডিজিটাল বোর্ড স্থাপনের কারণে আমাদের শিশুদের মাঝে যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এতে লেখাপড়ার মান আরও বাড়বে। স্মার্টবোর্ড দিয়ে আমাদের শিশুরা যা শিখবে তাতে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাবো।’
জাপান সরকারের জাইকা প্রকল্পের প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচে এ ধরনের স্মার্টবোর্ড স্থাপনে জেলার প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এই স্মার্টবোর্ড বিতরণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।
তিনি বলেন, ‘মাগুরা জেলার মানুষ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। এই শিশুরা আগামীর বাংলাদেশ তৈরি করবে। দেশের অগ্রযাত্রায় এরা অগ্রসৈনিক। এরাই কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদেরকে পৌঁছে দিবে।’