বিদেশে এখন , উত্তর আমেরিকা
প্রবাস
0

কানাডায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ

চলতি বছরকে কানাডার অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, লাগাতার নিম্নমুখী অর্থনীতি সামাল দিতে হবে ২০২৪ সালে। নতুবা ভেঙে পড়তে পারে সার্বিক জীবনমান। দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা মনে করেন, ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে ওঠার পথে অটোয়া।

অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে গেল বছর পার করে কানাডা। বড় মাথাব্যাথার কারণ ছিল মূল্যস্ফীতির লাগাম ছাড়া দশা। তবে আশার কথা হলো ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে জোর দিচ্ছে সরকার। এতে বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে দেশটিতে।

এ অবস্থায় সুদহার আবারও অপরিবর্তিত রেখেছে ব্যাংক অব কানাডা (বিওসি)। তবে বিষয়টি আছে কড়া পর্যবেক্ষণে। পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে না গেলে যেকোন সময় সুদহার বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্ণর বলছেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর এখনও। সেটি কাটিয়ে উঠাই প্রধান কাজ।

মুদ্রানীতি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মূল্যস্ফীতি তিন শতাংশের মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর যা ধরে রাখা প্রধান চ্যালেঞ্জ।

এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, 'আশা করা যাচ্ছে এ বছর মূল্যস্ফীতি হার কিছুটা কমে আসবে। ২০২৪ সাল কানাডার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে।'

মার্কিন ডলারের বিপরীতে এক কানাডিয়ান ডলার এক দশমিক ৩৫ সেন্ট। আসছে গ্রীষ্মকাল অতি গুরুত্বপূর্ণ কানাডার অর্থনীতির জন্য। সে সময় ব্যবসা বাণিজ্যের ভাটা দূর করতে হবে।

অর্থনৈতিক নানা কারণে উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমর্থনও নিম্নমুখী। বিরোধীদলীয় রক্ষণশীল নেতাদের অভিযোগ হলো, আবাসন খাত সংকট ও সরকারের ব্যয় মূল্যস্ফীতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। তারপরও বিশ্বে যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোকে নিজ পক্ষ অনুযায়ী সহায়তা অব্যাহত রেখেছে অটোয়া।