কাঠমান্ডু দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ ফিস ফেস্টিভাল-২০২৫’ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ফিস ফেস্টিভাল -২০২৫ এ আগত অতিথিরা
বাংলাদেশ ফিস ফেস্টিভাল -২০২৫ এ আগত অতিথিরা | ছবি: এখন টিভি
0

কাঠমান্ডুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ ফিস ফেস্টিভাল ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কাঠমান্ডুস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/মিশন প্রধান ও কূটনীতিক, নেপাল সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতা, থিংক ট্যাংক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, গণমাধ্যমের সদস্যসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। ফিস ফেস্টিভালের গেস্ট অব অনার ছিলেন নেপালের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কৃষ্ণ প্রসাদ ধাকাল।

নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় নেপাল ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ফিস ফেস্টিভাল শুরু হয় এবং এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে দেয়া বক্তব্যে নেপালের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এ উদ্যোগকে একটি প্রশংসনীয় ও উদ্ভাবনী আয়োজন হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে এবং অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এখন আরও গভীরতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এসময় তিনি পিপলস টু পিপলস কন্টাক্ট, বাণিজ্য ও ট্রানজিট, জ্বালানি ও বিনিয়োগে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে মৎস্য সম্পদ, অ্যাকুয়াকালচার এবং খাদ্য নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তার বক্তব্যে উঠে আসে।

ফিস ফেস্টিভালে রাখা বিভিন্ন মাছ দেখছেন অতিথিরা |ছবি: এখন টিভি

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী মৎস্য খাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন এবং এ উৎসবকে বাংলাদেশের নদীমাতৃক ঐতিহ্যের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘মাছ আমাদের সংস্কৃতি, জীবিকা, সামাজিক কাঠামো এবং জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক।’

এ আয়োজনের সূচনা হিসেবে দূতাবাস গত ২৪ নভেম্বর নেপালস্থ ব্যবসায়ীদের সৌজন্যে বিভিন্ন মিঠাপানি ও সামুদ্রিক মাছের প্রদর্শনীও আয়োজন করে। এতে নেপালের হসপিটালিটি খাতের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েকজন মাছ আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ফিস ফেস্টিভাল উপলক্ষে দূতাবাস চত্বরে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের রঙিন পোস্টার প্রদর্শিত হয়, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ফুটিয়ে তোলে। প্রদর্শনীতে জুলাই-আগস্ট মাসের বীরোচিত গণঅভ্যুত্থানের পোস্টারও স্থান পায়, যা উদার গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের আলোকে বাংলাদেশ ২.০-এর অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরে।

প্রথমবারের মতো কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস এ ধরনের আয়োজন করলো, যা বাংলাদেশের নানাবিধ মৎস্য সম্পদকে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করেছে। উৎসবে ১৫০ জনেরও বেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

এএইচ