৪০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ, অ্যাকটিভিস্ট ও কমিউনিটি নেতার সমন্বয়ে এ বৃহৎ ট্রানজিশন টিম গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা এ টিমে স্থান পেয়েছেন তারা হলেন— নাগরিক আন্দোলনের নেত্রী কাজী ফৌজিয়া, জনসংগঠক আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হক, শ্রম অধিকার সংগঠক মোহাম্মদ করিম চৌধুরী, অভিবাসন অধিকারকর্মী ফারিহাহ আখতার, স্মল ব্যবসা খাতের সংগঠক ও মুসলিম কমিউনিটি লিডার আরমান চৌধুরী, সামাজিক সংগঠন ভালো এবং ম্যাসভোটের সংগঠক শাহরিয়ার রহমান, শিক্ষা-যুব খাতে পরিচিত সংগঠক তাজিন আজাদ, আইন ও ন্যায়বিষয়ক ক্ষেত্রের প্রতিনিধি এবং কিউনি স্কুল অব ল–এর অধ্যাপক শ্যামতলী হক এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের প্রতিনিধিত্বকারী কমিউনিটি সংগঠক ইমরান পাশা।
প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের গ্রাসরুট কাজের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি কমিটির বিভিন্ন দায়িত্বে মনোনীত হয়েছেন।
৪০০ জনের দীর্ঘ তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এবারের ট্রানজিশন টিমে ১১ জন পাকিস্তানি এবং ১৬ জন ভারতীয়সহ দক্ষিণ এশিয়ার নানা কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব থাকলেও, বাংলাদেশিদের এত বড় সম্মিলিত উপস্থিতি এবারই প্রথম, যা প্রবাসী কমিউনিটির অবস্থানকে আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন:
এ অন্তর্ভুক্তির খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কমিউনিটি সংগঠন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানগুলোতে অভিনন্দনের বার্তা জানানো অব্যাহত রয়েছে।
২৪ নভেম্বর ঘোষিত এ ট্রানজিশন টিম নিউ ইয়র্ক সিটির জরুরি ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করবে। যেমন— বাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি, চাইল্ড কেয়ারের ব্যয়, গণপরিবহন উন্নয়ন, ছোট ব্যবসার সংকট, অভিবাসনজনিত চ্যালেঞ্জ এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
ট্রানজিশন কমিটির সদস্যরা নতুন প্রশাসনের নীতি প্রণয়ন, কর্মী নিয়োগের রূপরেখা তৈরি এবং সিটির সেরা চর্চা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেবেন।





