পোস্টাল ভোট নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও অনিশ্চয়তায় যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা

যুক্তরাজ্যের একটি শহর
যুক্তরাজ্যের একটি শহর | ছবি: এখন টিভি
1

প্রবাসীরা প্রথমবার পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা। তবে উচ্ছ্বাস থাকলেও, ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তায় হতাশ তারা। হাইকমিশন জানিয়েছে, অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে জনসচেতনতায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা । এ লক্ষ্যে ইউরোপের ৪২টি দেশে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে। যুক্তরাজ্যসহ লাখো প্রবাসী এ উদ্যোগকে উচ্ছ্বাস ও আগ্রহের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছেন।

প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘রেমিট্যান্স দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে যারা, তাদের ভোটের অধিকার দেয়া সময়ের দাবি ছিলো।’

আরও পড়ুন:

অন্য আরেকজন প্রবাসী বলেন, ‘আমরা যে যেখানে আছি সকলেই আনন্দিত। বাংলাদেশের নাগরিকরা তার ভোটের অধিকার ফিরে পেলো।’

ভোটের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা এখনও ভোটার নিবন্ধন ও ভোটদানের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। প্রবাসীরা জানাচ্ছেন, দেশের নীতি–নির্ধারণে অংশ নিতে তারা আগ্রহী, তবে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না পৌঁছায় ধোঁয়াশা কাটছে না।

প্রবাসী ভোটাররা জানান, তাদের কাছে ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এ বিষয়ে আরও প্রচার করা প্রয়োজন বলে জানান তারা।

লন্ডনের হাইকমিশন বলছে, ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধন করা যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের পর নিজ ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে। এছাড়া জনসচেতনতায় প্রচারণাও চলছে।

আরও পড়ুন:

লন্ডন বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন আরও নানাভাবে কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে এঙ্গেজ করছে, যাতে বেশি সংখ্যক ভোটাররা রেজিস্ট্রেশন করেন। আমরা চাচ্ছি কমিউনিটির সঙ্গে আরও বড় ধরনের এঙ্গেজমেন্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার করতে।’

নির্বাচন কমিশন মনে করছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হলে তাদের দাবি আরও গুরুত্ব পাবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন ঘোষণা হবে।

এফএস