পরিচয়পত্র প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাষ্ট্রদূত হযরত আলী খান ডেপুটি আমিরের সঙ্গে বৈঠকে করেন। বৈঠকে ডেপুটি আমির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন। তিনি কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কাতারের উন্নয়নে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত হযরত আলী খান কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের পাশাপাশি কাতারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:
এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য কাতারের জন্য এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। রাষ্ট্রদূত কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকাকে বিশ্ব শান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রশংসা করেন এবং সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
রাষ্ট্রদূত হযরত আলী খান উল্লেখ করেন, আমির ও প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে। তিনি ডেপুটি আমিরকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখযোগ্য, রাষ্ট্রদূত হযরত আলী খান বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ২১তম ব্যাচের পেশাদার কূটনীতিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রদূত হিসাবে যোগদানের পূর্বে লন্ডনে ডেপুটি হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমিরি দেওয়ানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী।
এদিন বাংলাদেশ ছাড়াও বেলজিয়াম, কানাডা, পোল্যান্ডসহ মোট ৭ দেশের রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করেন।





