এভাবেই মাকে স্মরণ করছিলেন, কানাডায় সদ্য পড়াশোনা শেষ করা বাংলাদেশি যুবক সাইফুর রহমান। দেশে যাওয়া হয় না দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। মা-বাবার সঙ্গে যা যোগাযোগ তার পুরোটাই মুঠোফোনে। যতই ব্যস্ত দিন যাক না কেন, পরিবারের খোঁজ নেন হাসিমুখে।
এমন গল্প প্রতিটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরই। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে, চাইলেই ফেরা হয় না নিজ ভূমিতে। যদিও মন পড়ে থাকে আপন নিবাসে।
কানাডায় উন্নত জীবন ব্যবস্থা, সেরা শিক্ষা পরিবেশ, ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ নিতে গেলো কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ দেশে এসেছেন। ছোট বড় বিভিন্ন প্রদেশ মিলিয়ে তাদের বসবাস।
লেখাপড়া শেষে অনেকে করছেন চাকরিও। কেউ কেউ হয়েছেন স্থায়ী। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমেও এসেছেন বহু মানুষ। জীবন-জীবিকার জন্য দূরে পরিবার থেকে।
পরিবারের কথা ভেবে দেশে অর্থও পাঠান বাংলাদেশিরা। যেন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন দূরে থেকেও।
যারা অর্থ পাঠান তার বেশির ভাগই ব্যাংকিং চ্যানেলে। কিন্তু এখনো হুন্ডির প্রকোপ কমেনি। হুন্ডি কমানো গেলে আরো বেশি রেমিট্যান্স যেতে পারে কানাডা থেকে বাংলাদেশে, বলছেন সচেতন অভিবাসীরা।