বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের স্বপ্নের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রও বলা হয় দেশটিকে। আর এখানেই বসবাস ১৫ লাখের বেশি বাংলাদেশির। যদিও, বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরো অনেক।
বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই এখানে দক্ষকর্মী ও সফল ব্যবসায়ী। তাদের আয়ও তুলনামূলক ভালো। দেশের উন্নতিতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তারা অবদান রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তাই তো বৈধপথে বাংলাদেশে এখন সব থেকে বেশি রেমিট্যান্স যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই। এতে, অবৈধ হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে কমেছে অর্থপাচারের প্রবণতাও।
আমেরিকার মানি ট্রান্সমিটারস অ্যান্ড এজেন্টের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মালেক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের ভিতর থাকলে একসময় এইটা কমে যাবে। আর মধ্যপ্রাচ্যের লোকজন বৈধ পথে টাকা পাঠাতে আগ্রহ দেখাবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কমানোর লক্ষ্যে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রবাহ বাড়ানো গেলে আরও শক্তিশালী হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর, এই তিন মাসের প্রবাসী আয় সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় গেছে প্রায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে গেছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। আর এরপরই অবস্থান সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রিটেনের।
সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধরপাকড় নীতির কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে ভাটা পড়তে পারে রেমিট্যান্স প্রবাহ। তবে যারা বৈধভাবে আছেন এবং ব্যবসা করছেন, তারা আগের থেকে আরও মুনাফা করতে পারবেন, এমনটাও মত অনেকের। কেননা, ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।