স্বপ্নপূরণের দেশ যুক্তরাষ্ট্র এখন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে অভিবাসীদের জন্য। শত শত বছর আগে যারা অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন এই ভূমিতে, তারাই এখন চরম বিরোধিতা করছেন নতুনদের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর, এ কয়দিনে হাজার হাজার মানুষ আটক হয়েছেন। বলা হচ্ছে, তাদের বসবাসের বৈধ কাগজপত্র নেই। এ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ তো রয়েছেই, তার মধ্যে আরেক মাথা ব্যথা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্যোগ। যদিও আইনি জটিলতায় পড়েছে সেটি। কিন্তু এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার ডেপুটি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রভাকর দাশরয় অমিত বলেন, ‘আমার মনে হয় না জিনিসটা এত সহজ হবে কারণ অনেকদিন কার্যত আছে। তাই হুট করে কংগ্রেস পাশ করাতে পারবে না।’
বিরোধী ডেমোক্র্যাট পার্টি বলছে, স্পষ্টত এটি সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর লঙ্ঘন। ১৫৭ বছর ধরে মার্কিন ইতিহাস ও সংবিধানের অংশ যে অধিকার, সুপ্রিম কোর্ট দুইবার অক্ষুণ্ন রেখেছে চাইলেই প্রেসিডেন্ট কলমের খোঁচায় সেই আইন বাতিল করতে পারেন না।
যুক্তরাষ্ট্র লেখক জগলুল হায়দার বলেন, ‘মানবাধিকার সংগঠনগুলো এরই মধ্যে কথা বলা শুরু করছে। ইতোমধ্যে যে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে সেটাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং আদালত তা স্থগিত আদেশ দিয়েছে।’
ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিষয়টি হতে পারে দ্বিতীয় মেয়াদে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় আকারের আইনি লড়াই।