প্রবাস
0

দু'দিন বাদে শপথ, ট্রাম্পের ওপর সতর্ক নজর প্রবাসী বাংলাদেশিদের

দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই বড় বড় শহরগুলো সেজেছে নতুন সাজে। কাজে নেমেই বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনবেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে আছে আলোচনা-সমালোচনা দুটোই। বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীরা যেমন সংকটে পড়বেন, তেমনি সুবিধা পাবেন স্থায়ী বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। প্রভাব বাড়বে ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস ও মার্ক জাকারবার্গদের মতো বিলিয়নেয়ারদের।

আমেরিকার ‘ঢাকা’ খ্যাত জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশিদের কর্মব্যস্ত দিন। শত কাজের মধ্যেও সামান্য অবসরে আলোচনার বিষয়বস্তু- দায়িত্ব নিয়ে কী কী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ প্রথম দফার শাসনামলে ভালো-মন্দ দুই অভিজ্ঞতারই সাক্ষী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নানা কারণে এবার বেশ সতর্ক নজর রাখছেন তারা।

দেশ নিয়ে ভাবেন বলেই, পোশাক খাতের সাম্প্রতিক পিছিয়ে পড়ার খবরে ব্যথিত অভিবাসীরা। তাদের পরামর্শ, ঢাকার পক্ষ থেকে রপ্তানি বাড়াতে, ওয়াশিংটনে নতুন প্রশাসনের সঙ্গে দ্রুতই যোগাযোগ করার।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী কয়েক লাখ নথিহীন মানুষের জীবন প্রথম দিন থেকেই দুর্বিষহ করে দিতে বদ্ধপরিকর নয়া প্রেসিডেন্ট। এ তালিকায় আছেন বাংলাদেশিরাও। যা নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে কমিউনিটিতে।

অন্যদিকে ইসরাইলের প্রতি জো বাইডেন প্রশাসনের চেয়েও জোরালো সমর্থন নিয়ে উপস্থিত হবেন ট্রাম্প। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে হবে আপস, মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ডসহ বেশ কিছু অঞ্চল ঘিরে ট্রাম্পের ব্যাপক আগ্রহ শঙ্কাও জাগাচ্ছে। এতে উল্টো জিনিসপত্রের দাম না বেড়ে যায়, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে মার্কিন জনগণের স্বার্থের বাইরে ট্রাম্প যাবেন না বলে বিশ্বাস নাগরিকদের।

একজন বলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে ভালোই বলবো, কারণ তিনি যা করেন, আমেরিকার মানুষের ভালোর জন্যই করেন।’

৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৭ সালের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য রেকর্ড প্রায় ১০৭ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেন। এবারে রিপাবলিকান কমিটি তার চেয়েও বেশি ১৭০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সংগ্রহ করেছে বলে খবর বেরিয়েছে। ট্রাম্পের অন্যতম মিত্র ইলন মাস্ক থেকে শুরু করে বড় বড় আইটি কোম্পানির মালিকরা এই অর্থের জোগান দিয়েছেন।

এএইচ