সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু'টি বাংলাদেশ মিশনে পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্টের আবেদন ও ভ্রমণের অনুমতি নিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করছেন বহু প্রবাসী বাংলাদেশি, সারি বেঁধে নিচ্ছেন সেবা। সাধারণ ক্ষমার আওতায় অবৈধ অভিবাসীরা আবেদন সাপেক্ষে বৈধতা নিশ্চিত করছেন। ইতোমধ্যে অনেকে বৈধতা নিয়ে দেশটিতে থাকার অনুমতিও পেয়েছেন। একই সাথে জেল-জরিমানা ছাড়া দেশেও ফিরছেন অনেকে।
সাধারণ ক্ষমা চলমান থাকায় সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মিশনে বেড়েছে সেবা প্রার্থীর সংখ্যা। গেল ২০ দিনে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কেবল এমআরপি ও ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১৭ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। একই সময়ে জেল-জরিমানা ছাড়া দেশের ফেরার জন্য দু'টি মিশন থেকে ভ্রমণ অনুমতি সংগ্রহ করেছেন ৯৩৮ জন বাংলাদেশি। কনস্যুলেটের পাসপোর্ট উইং জানায়, স্থানীয় ইমিগ্রেশন থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯৩৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়েছেন। এই প্রবাসীরাও সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন।
পাসপোর্টের মেয়াদ ছয় মাসের কম হলে এবং তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকলে মিশন থেকে এমআরপি পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন করা যাচ্ছে। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা থাকায় প্রবাসীরা এই সেবাও দ্রুত পাচ্ছেন। তবে দেশ থেকে করা সনদ সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। মিশন জানায়, চলতি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে ইচ্ছুকদের আগামী দশ দিনের মধ্যেই পাসপোর্টের আবেদন নিশ্চিত করতে হবে।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ থেকে কেউ বঞ্চিত না হয়। এই কারণে আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি তারা যেন পাসপোর্টের আবেদন করতে।’
সাধারণ ক্ষমার এ সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে ছুটির দিনেও সেবা কার্যক্রম চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস। আল আইন ও বেদা জায়েদ অঞ্চলে দূতাবাসের প্রতিনিধিদল অস্থায়ীভাবে সেবা প্রদান করছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীরা সাধারণ ক্ষমার এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন।