গেলো কয়েক বছর ধরেই ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ টানাপোড়েনে বাংলাদেশের অর্থনীতি। যার অন্যতম কারণ অর্থপাচার। ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক খাতের গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দেড় দশকে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ কোটি টাকা। এই পাচারের প্রায় ৮০ শতাংশই হয়েছে বাণিজ্যের আড়ালে। সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া ছাড়াও কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে প্রথম সারিতে। যেখানে এখন সেকেন্ড হোমগুলো হয়ে উঠছে ফার্স্ট হোম। যারা এতো দিন অর্থ পাচার করেছেন তারা সম্পদ বজায় রাখতে আরও বেশি বাড়িঘরসহ স্থাপনা কেনার দিকে মনোযোগী হচ্ছেন।
কানাডার গবেষক ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'শেষ তিন থেকে চার মাসে হাউজিংটা মোটামুটি কন্ট্রোলের মধ্যে আসছে। ট্রুডো সরকার মোটামুটি অনেককিছুই কন্ট্রোল করছে। বিশেষ করে ইমিগ্রেশনের ওপর বেশকিছু রেস্ট্রিকশন করার কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসছে।'
প্রবাসীরা দাবি তুলেছেন, দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করতে হবে। এ জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে হবে বিষয়টি। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বেশ কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ বহু দেশের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করে। সেইসব চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে ঢাকার যৌথ উদ্যোগ জারি রাখার তাগিদ বিশ্লেষকদের।
ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশের নতুন সরকার ও কানাডার সরকার মিলেই এই বিষয়টা অ্যাড্রেস করা দরকার। সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিল তারা যেন পালিয়ে না আসতে পারে। তাদের যেন বিচারের মুখোমুখি করা যায় সে প্রচেষ্টা নিতে হবে।'
কানাডায় প্রায় প্রতি প্রান্তিকেই বাড়ির দাম ও ভাড়া বাড়ছে। এর মধ্যে গেলো দু'বছর ধরে অনেক দুর্নীতিবাজ পরিবার আলবার্টা প্রদেশের রাজধানী ক্যালগেরি শহরে সম্পদ গড়ে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
শুধু ব্যক্তি উদ্যোগেই নয়, অর্থপাচার প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত হয় দেশের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকও।