আমিরাতে কর সচেতনতায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সেমিনার

কনস্যুলেটের সেমিনার | ছবি: এখন টিভি
0

সংযুক্ত আরব আমিরাতের করপোরেট ট্যাক্স সম্পর্কে ধারণা না থাকায় জরিমানার মুখোমুখি হতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে। এ অবস্থায় প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে করপোরেট ট্যাক্সের উপর সচেতনতামূলক সেমিনার করেছে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট। দেশটির আজমানের রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের নিয়ে করা সেমিনারে কর-সংক্রান্ত করণীয় ও পরামর্শ দেয়া হয়।

২০২৩ সালের জুনে করপোরেট ট্যাক্স চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে বহু ব্যবসায়ীই এ বিষয়ে পুরোপুরি অবগত নন। যে কারণে প্রায়ই জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানকে।

বার্ষিক নিট মুনাফার পর গণনা করা এই করের বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সচেতনতায় কাজ করছে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট। গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২২ মে) আজমানে আয়োজিত এক সেমিনারে করপোরেট ট্যাক্সের আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হয় রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, ‘সরকার করপোরেট ট্যাক্সের ব্যাপারে অনেক সচেতন। তারা জরিমানা আরোপ করছে, যারা ট্যাক্স পরিষদের বিভিন্ন ডেডলাইনের মধ্যে ট্যাক্স দিচ্ছে না তারা জরিমানার মুখে পড়ছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছেন।’

রেডিমেড গার্মেন্টস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইমন মোহাম্মদ হাকিম বলেন, ‘এখানে দেড় হাজারের উপর রেডিমেট গার্মেন্টসের শপ আছে। তাদরে অনেকেই হয়তো করপোরেট ট্যাক্স সম্পর্কে জানে না। আবার অনেকে জানে কিন্তু পরিপূর্ণ জানে না। সেজন্য আমরা এই অনুষ্ঠান করেছি।’

সাধারণত লিমিটেড কোম্পানি, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও অন্যান্য মুনাফাভিত্তিক সংস্থার উপর এই কর প্রযোজ্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্যাক্স দাখিল না করা, ভুল তথ্য দেয়া ও কর পরিশোধে অনিয়মিত হওয়ার কারণে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হয় প্রতিষ্ঠানকে। এসব বিষয়ে পরামর্শ, জিজ্ঞাসা ও করণীয় শীর্ষক দীর্ঘ ৫০ মিনিটের সেশন ছিল সেমিনারে।

সেমিনারে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের দেশিয় পণ্যের প্রচার-প্রসারে আরো বেশি করে এগিয়ে আসাসহ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ানোর অনুরোধ জানান কনসাল জেনারেল। এই ধরনের সেমিনার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সচেতন করার পাশাপাশি জানার ঘাটতি পূরণ করবে বলে আশা দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের।

আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, ‘বলছি না যে আজকের একটি সেশনের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বা সবাই একদিনে জ্ঞানী হয়ে যাবে। আজকের এই সেশন থেকে যেটি জানতে পালাম, সেটি হচ্ছে আমার এই করপোরেট ট্যাক্স সম্পর্কে কতটুকু জানার ঘটিতি আছে। নিজের মধ্যে এই সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘যতটা সম্ভব দেশের পণ্য যদি আপনারা নিয়ে আসেন এবং সেটা প্রচার এবং প্রসারে যদি সহযোগিতা করেন তাহলে দিনশেষে সেটা বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করবে।’

আমিরাতের অন্যান্য বিভাগগুলোতেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে এই ধরনের সেমিনার আয়োজনের পরামর্শ রাষ্ট্রদূতের।

এসএস