প্রবাস
0

দুবাইয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র চীনা ড্রাগন মার্ট

কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫-২০ হাজার বাংলাদেশির

দুবাইয়ে চীনা পণ্যের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র ড্রাগন মার্ট। যেখানে হাত বাড়ালেই মেলে নানা রকমের পণ্য। ২০০৭ সালে চালুর পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি। এর ৯ বছর পর এই কেন্দ্রের পাশেই গড়ে উঠেছে ড্রাগন মার্ট টু। ভিনদেশিদের পাশাপাশি শপিংমল দুটিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার বাংলাদেশির।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাত্তা-দুবাই মহাসড়কের পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে চীনা পণ্যের বাজার। ড্রাগন মার্ট ও ড্রাগন মার্ট টু নামের ভবন দুটি আমিরাত ও চীনের মাঝে ব্যবসায়িক সম্পর্কের বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। দুটি শপিংমলে রয়েছে ১১ হাজারের বেশি দোকান।

২০১২ সালে কাজের সন্ধানে আমিরাতে আসেন বাংলাদেশি প্রবাসী শাহ আলম। দুইবছর পর চাকরি ছেড়ে এখানে শুরু করেন ব্যবসা। বর্তমানে শাহ আলমের মাসিক আয় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। তার প্রতিষ্ঠানেই কাজ করছেন প্রায় ৪২ জন শ্রমিক। চীনাদের পাশাপাশি নিজেদের মেধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশিদের এগিয়ে যাচ্ছেন এই প্রবাসী।

বর্তমানে ব্যবসায়ী ও কর্মচারী মিলে শপিংমল দুটিতে কাজ করছেন ১৫ থেকে ২০ হাজার বাংলাদেশি। তাদেরই একজন চট্টগ্রামের মারুফ উল হক ব্যবসা করছেন এক যুগের বেশি সময় ধরে। দীর্ঘ এ সময়ে লেনদেনের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে তাদের সমৃদ্ধ ব্যবসায়িক কমিউনিটি। তিনি জানালেন, একযুগ আগে একসময় যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেতেন তারা এখন অনেকেই সাবলম্বী।

নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে বিলাসপণ্য, প্রায় সব ধরনের সামগ্রীর সমাহার ঘটেছে এখানে। ক্রেতাদের কাছেও তাই বেশ জনপ্রিয় এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি। প্রতিবছর প্রায় চার কোটি দেশি-বিদেশি ক্রেতার সমাগম ঘটে এখানে।

বাণিজ্যকেন্দ্রটিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ফুডকোর্ট, সিনেমা হল, আবাসিক হোটেল। বিনোদন ব্যবস্থা রয়েছে শিশুদের জন্যেও। সবসময় পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা।

দিনদিন এই বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাড়ছে ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী প্রবাসীর সংখ্যা। সমৃদ্ধির এই গল্পে এখন বড় অংশই দখল করে আছেন বাংলাদেশিরা।