পরিবেশ ও জলবায়ু
0

বন্যায় লক্ষ্মীপুরের মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে

তিন থেকে চার দিন আগেও অনেকটা স্বস্তিতে থাকা লক্ষ্মীপুরের মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সঙ্গীন হয় নিম্নাঞ্চলের অবস্থা। এদিকে, দুর্যোগের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহ, তাই দুর্দশা বাড়ছে বিপর্যস্ত মানুষের।

একদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোত। অন্যদিকে থেমে থেমে বৃষ্টি। সবমিলিয়ে পানিবন্দি লক্ষ্মীপুরবাসির অবস্থা এখন ভয়াবহ। তিন থেকে চারদিন আগেও অনেকটা স্বস্তিতে ছিলেন এই জেলার মানুষ। এখন ক্রমেই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।

প্রধান প্রধান সড়কেরও অনেক উপর দিয়ে পানির স্রোত জানান দিচ্ছে নিম্নাঞ্চলের অবস্থা কতটা সঙ্গীন। কোথাও কোমর পানি, কোথাও গলাপানি। সবমিলিয়ে মানবেতর অবস্থা লক্ষ্মীপুরবাসীর।

স্থানীয় একজন বলেন, 'ঘরে পানি আসার আগে আগেই কিছু জিনিস সরাইছি, এখন ঘরে কোমর পর্যন্ত পানি, এখন সব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। নিজের বাড়ি ছেড়ে যে বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলাম এখন সেখানেও পানি উঠেছে।'

এই যখন অবস্থা তখন ত্রাণের জন্য হাহাকার চারদিকে। দুর্যোগের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহ। সে কারণে বিপর্যস্ত মানুষের দুর্দশা আরও বাড়ছে।

স্থানীয় একজন বলেন, 'মানুষের অবস্থা একেবারে খারাপ। এতো পরিমাণ পানি উঠছে যে কেউ নিজের বাড়িতে থাকতে পারেনি। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে হয়েছ। আশ্রয়কেন্দ্র, স্কুল, মাদ্রাসা কোথাও আর থাকার মতো জায়গা নেই। অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন সবার সাহায্য লাগবে। না হলে আমরা বাঁচবো না।'

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই অবশেষে ত্রাণ আসতে শুরু করেছে লক্ষ্মীপুরে। বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা, খানাখন্দ আর ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পেরিয়ে লক্ষ্মীপুরবাসির জন্য ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। এদের মধ্যে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবেশ করেছেন প্রত্যন্ত এলাকায়। তবুও বানভাসি মানুষের হাতে খানিকটা শুকনো খাবার আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিতে পারে আনন্দিত তারা।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একজন বলেন, 'এই বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষ যেন এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পায় সেজন্য আমাদের এ প্রচেষ্টা। এই এলাকার রাস্তার অবস্থা এখন অনেক খারাপ। আমাদের অনেক রিস্ক নিয়ে আসতে হয়েছে।'

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রায় সব কটি ইউনিয়নই এখন প্লাবিত। ভালো নেই, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জও। সব মিলিয়ে জেলার প্রায় ৯ লাখ মানুষ পানিবন্দি।

tech