আজ (শনিবার, ১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজউক আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলা বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'অবকাঠামোগত কাজে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেয়া প্রয়োজন। যা ভবিষ্যৎ সমাজ ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই অবকাঠামোর ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিয়ে আসছে।'
সালমান এফ রহমান বলেন, নিরাপদ অবকাঠামো ঝুঁকি হ্রাস করে, সরকার সেদিকে নজর রাখছে। রাজউকের সাথে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শহরে ভূমিকম্প সহনশীলতার ব্যাপারেও কাজ চলবে। আমাদের লক্ষ্য উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা। বর্তমানের পরিকল্পনাই ভবিষ্যতের ঢাকাকে গড়ে তুলবে।'
তিনি বলেন, '১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজটি করতে হবে। সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও এলাকা চিহ্নিত করছে।'
ঢাকা শহরকে ভূমিকম্প সহনশীল করে তুলতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, 'ঢাকা চট্টগ্রামসহ সব জেলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আবশ্যক প্রক্রিয়াগুলো অপর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মাঝে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবাই একত্রে কাজ করেই রাজধানীকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে হবে।'
সেমিনারে রাজউকের চেয়ারম্যান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। রাজউকের আয়োজনে চলা দু'দিনের এই সেমিনার শেষ হবে ২ জুন।