পরিবেশ ও জলবায়ু
0

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বাড়ছে তিতাস-মেঘনার পানি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে আবহওয়া পরিস্থিতি। আজ (সোমবার, ২৭ মে) সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। এছাড়া গতকাল রোববার থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম।

তবে ঝড়-বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১শ’ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। তবুও জেলার সরাইল, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১০০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।’

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। গত দুইদিনে তিতাসের পানি বেড়েছে ০.৩৫ মিটার এবং মেঘনার পানি বেড়েছে ০.৮৬ মিটার।

তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বৃষ্টির কারণে জেলা শহরে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদীর গোকর্ণঘাটে ১.৬৫ মিটার এবং মেঘনা নদীর ভৈরববাজার পয়েন্টে ১.৮৮ মিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কোনো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

ইএ