পরিবেশ ও জলবায়ু
0

দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বস্তির বৃষ্টি

তীব্র গরমের পর এলো বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির ফোঁটা যেমন কমিয়েছে বৈশাখের তীব্র উত্তাপ তেমনি জনজীবনে কিছুটা হলেও ফিরিয়েছে প্রশান্তি। এদিকে ভোরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটিতেও মারা গেছে ২ জন।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশে ছিলো মেঘ সূর্যের লুকোচুরি খেলা। এর পরই সূর্যকে গ্রাস করে মেঘ। কিছু পরেই অঝোর ধারায় নগরের বুকে নামে বৃষ্টি হয়ে। অগ্নিস্নানের পর বৃষ্টি মানুষকে স্বস্তি দেয়।

জলের ধারায় প্রাণ-প্রকৃতি হলো শীতল। গ্রীষ্মের টানা খরতাপের খড়গে দেশজুড়ে মানুষ যখন চাতকের মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় ঠিক সেসময় চট্টগ্রামে দেখা মিললো। সকাল সাড়ে নয়টার এক পশলা বৃষ্টি নগরবাসীর জন্য ছিল শান্তির।

বৃষ্টির জলরাশি খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখেও এনেছে আনন্দ। শীতল আবহাওয়ায় কাজ করে স্বস্তির কথা জানান তারা। সকালে চট্টগ্রামে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

শ্রমজীবীদের অনেকে বলেন, বৃষ্টি পড়াতে গরম কমছে, তাই এখন খুব ভালো লাগতাছে। এতদিন গরম সহ্য করতে খুব কষ্ট হইছে। বৃষ্টি বাড়লে আরও বেশি শান্তি লাগবে।

শান্ত হয়েছে পর্যটন নগরীখ্যাত কক্সবাজার। ভোর থেকে কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। থেমে থেমে যা অব্যাহত ছিল দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত।

ভোর ৬ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রা। বেলা ১২ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল সকাল কয়েক পশলা বৃষ্টি প্রশান্তি এনে দেয় ফেনীর জনপদেও। খরতাপের প্রকৃতি ছুঁয়ে যায় শীতল আবহ। তীব্র গরমের পর সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বজ্রসহ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয় ফেনীতে। এতে জনমনে স্বস্তি আসে। কিন্তু এই বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ঘণ্টাখানেক পর গরমের তীব্রতায় ফের দেখা দেয় অস্বস্তি।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েকদিন দেশের নানা জায়গায় বৃষ্টি আছে। তবে ৭ মে'র পর আবারও তাপমাত্রা বাড়বে। তবে এক্ষেত্রে স্বস্তির খবর হচ্ছে এপ্রিলের মতো তীব্র তাপপ্রবাহ সইতে হবে না দেশের মানুষকে।