জেলায় পদ্মা, গড়াই, হিসনাসহ প্রায় ৮টি নদী রয়েছে। নদী ঘিরে উর্বর তীরবর্তীতে গড়ে উঠেছে জনপদ। তবে দখলের কারণে দিন দিন একসময়ের উচ্ছ্বল নদীগুলো অস্তিত্ব হারাচ্ছে।
যে যেভাবে পারছে নদী দখল করে গড়ছেন স্থাপনা। আবার অনেকে নদী দখল করে করছেন মাছ চাষ। প্রবাহ না থাকায় এখন দেখে বুঝার উপায় নেই, একসময় এখানে বড়-বড় লঞ্চ ও নৌকা চলতো!
স্থানীয়রা বলেন, ‘দিন দিন নদী দখল করে নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা। নদীর আশপাশে স্থাপনাও গড়ে তুলছে। এতে করে নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতিদ্রুত নদীগুলো রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’
নদী গবেষক গৌতম কুমার রায়, নদী রক্ষায় অনেক আইন থাকলেও বাস্তবায়ন নেই। তাই দখলদারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জেল-জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় দখলকৃত স্থানের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আর নদীর নাব্যতা ফেরাতে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান।
দখলমুক্ত হয়ে নদী ফিরে পাবে তার হারানো অস্তিত্ব। নদীতীরে দেখা যাবে ভেসে থাকা নৌকা, এমন স্বপ্ন কুষ্টিয়াবাসীর।




