চাঁদের চেয়ে ৪শ' গুণ বড় সূর্য। তবে পৃথিবী থেকে সূর্যের চেয়ে চাঁদের দূরত্ব কম হওয়ায় চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে আসে তখন সূর্য ঢেকে যায়। এ অবস্থাকে সূর্যগ্রহণ বলে। আর পূর্ণগ্রাসের সময় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে চাঁদ। তখন পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না। তাই দিনের বেলায়ও নেমে আসে রাতের আধাঁর।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টা ৪৩ মিনিট থেকে রাত ২টা ৫২ মিনিটের মধ্যে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার নির্দিষ্ট স্থান থেকে দেখা যাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। এছাড়া, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের কিছু দেশ এবং কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, স্পেন, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও আইসল্যান্ডের নির্দিষ্ট কিছু স্থান থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে।
এবারের সূর্যগ্রহণ টানা চার মিনিটের বেশি স্থায়ী হবে। যা গত ৫০ বছরেও ঘটেনি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্যমতে, সূর্যগ্রহণটি প্রথম দেখা যাবে মেক্সিকোতে। সেখান থেকে গ্রহণটি কানাডার পূর্ব প্রান্তে যেতে সময় নেবে এক থেকে দেড় ঘন্টা। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রায় ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড পূর্ণগ্রাস থাকবে।
বিরল এই সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে জড়ো হয়েছে দর্শনার্থীরা। ভিড় বাড়ছে কানাডা ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি রাজ্যে। সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে আসছেন কয়েক লাখ দর্শনার্থী।
দর্শনার্থীরা বলেন, 'আমরা মেক্সিকোতে সূর্যগ্রহণ দেখতে এসেছি। ইতিমধ্যে পর্যটকদের ভিড়ে শহরে একবিন্দু জায়গা খালি নেই। আশা করছি আকাশ পরিষ্কার থাকবে।'
আরেকজন বলেন, 'সূর্যগ্রহণ আমার কাছে খুবই চমৎকার ঘটনা। যাদের গ্রহণ নিয়ে কুসংস্কার ও অলৌকিক ধারণা আছে, তাদের এখানে আসা উচিৎ।'
সূর্যগ্রহণ ঘিরে নাসা ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে শতাধিক ইভেন্ট ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিরল এই ঘটনাকে স্মৃতিময় করতে গ্রহণ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের রাসেলভিলেতে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ৩ শতাধিক যুগল। কারণ সূর্যের এমন গ্রহণ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত।