বরগুনার ১০ নম্বর নলটোনা ইউনিয়নের আজগরকাঠি গ্রামের নদীর তীরে বসানো হয়েছে চুল্লি। দূষণের এমন মহোৎসবে স্থানীয়রা ভুগছেন শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে।
স্থানীয়রা বলেন, পানিটা পর্যন্ত মুখে দেয়া যায় না। ধোঁয়ার গন্ধে খারাপ হয়ে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চুলা বন্ধ করার অনুরোধ করেও লাভ হয় নাই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও চুল্লি মালিকরা মানছেন না নিয়মনীতি। গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেলেই চলে ম্যানেজ করার পায়তারা। এসব অবৈধ চুল্লি স্থায়ীভাবে বন্ধ ও শাস্তির দাবি সচেতন মহলের।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, 'কিছু জরিমানা করে কিংবা গোপনে অর্থ নিয়ে লাভবান না হয়ে এগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হোক।'
ছোট বড় সব মিলিয়ে ২০-২৫টি অবৈধ চুল্লি রয়েছে উপকূলীয় এ জেলায়। দূষণ বন্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইনে জেল-জরিমানা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'আমাদের দায়িত্বটা হচ্ছে নামমাত্র। তারপর এটাকে কার্যকর করার দায়িত্ব সংস্থাগুলোর। আমরা চাচ্ছি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজটি করার।'
সৈকত-সৌন্দর্যের জেলা বরগুনায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দূষণ। টেকসই পদক্ষেপ না নিলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপকূলীয় খাদ্য উৎপাদন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।