একসঙ্গে বিশ্বের লাখ লাখ মুসল্লির কণ্ঠে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠতে হাতে সময় বাকি দুই মাসেরও কম। তাই ২০২৫ সাল বা আরবি ১৪৪৬ হিজরির পবিত্র হজ ঘিরে এখন থেকেই প্রস্তুত সৌদি আরব সরকার।
২৯ এপ্রিল বা পহেলা জিলক্বদ থেকে মক্কার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশের হজযাত্রীরা। এ অবস্থায় অনুমোদিত হজযাত্রীরা যাতে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে হজ আদায় করতে পারেন তার জন্য ১৩ এপ্রিল বা ১৫ শাওয়াল থেকেই ওমরাহ ও অন্যান্য ভিসাধারীদের মক্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া ওমরাহ, ভিজিট ও অন্যান্য ভিসাধারী যেসব ব্যক্তি ইতোমধ্যে অবস্থান করছেন, তারা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ-কেন্দ্রিক কোনো এলাকায় আর ঠাঁই পাবেন না। এই নির্দেশনা জারি থাকবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
এখানেই শেষ নয়, হজ ঘিরে দেশের অর্থ সংশ্লিষ্ট স্বার্থ পূরণ এবং বৈধ হজযাত্রীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে ২৯ এপ্রিল থেকে হজ আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এ আওতায় হজ অনুমোদন ছাড়া মক্কায় থাকার জায়গাতো পাওয়া যাবেনই না, গুণতে হবে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার সমান। এছাড়া এমন কোনো ব্যক্তিকে মক্কার কোনো হোটেল, স্থানীয় বাসিন্দা বা পরিবহন সংস্থা থাকা ও চলাচলের সুযোগ করে দিলে তাদের জন্যও থাকছে একই সাজার বিধান।
প্রবাসীদের জন্যও কড়াকড়ি আরোপ করেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। অনুমোদন ছাড়া হজ করতে গিয়ে প্রথমবার ধরা পড়লে ছয় মাসের কারাদণ্ড শেষে নিজ দেশে পাঠানোর বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি পরবর্তীতে ১০ বছরের জন্য সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন না সাজাভোগকারী প্রবাসী।
এদিকে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজের কোটা রয়েছে। পাকিস্তান থেকে এক লাখ ৭৯ হাজার ২১০ জন। তবে ভারতীয়দের বেসরকারি হজের কোটা ৮০ শতাংশ কমিয়েছে সৌদি আরব। যার কারণে দেশটির বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের আওতায় নিবন্ধিত প্রায় ৫২ হাজার মুসল্লির হজযাত্রা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। বিধান অনুযায়ী শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ।