যোগাযোগ-অবকাঠামোতে এগিয়ে থাকলেও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে কুমিল্লা

0

জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

নবান্নে নতুন ধানের ঘ্রাণের সাথে শিশিরের মিতালী- এমন আবহে বেজে উঠছে ভোটের বাদ্য। দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া, দেশের অন্যতম বৃহৎ জেলা কুমিল্লাতেও এর ব্যতিক্রম নয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনপদ থেকে প্রার্থীদের ৮০ শতাংশই ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি।

দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের প্রাচীন সমতটের এ জনপদের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গোমতী নদী। প্রাচীন বাংলার ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানীর এই জনপদে হালে গড়ে উঠেছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, ইকোনমিক জোন, হাইটেক পার্ক, বিসিকসহ আট শতাধিক ছোটবড় শিল্প কারখানা। তৈরি হয়েছে ইট-সিমেন্টের হাজারো অবকাঠামো।

৬৩ লাখ মানুষের এ জেলার আয়তন ৩০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা এখানকার ১৩লাখ প্রবাসীর গত ৩ বছরের রেমিট্যান্স ছিল ৪ হাজার মিলিয়ন ডলার।

গ্যাস উৎপাদনেও কুমিল্লার অর্জন সফলতার। বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১০টি কূপের মধ্যে ৬টি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। তবে ভৌগলিক সুবিধা সত্ত্বেও বাড়ছে না রপ্তানিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বন্ধ হয়ে গেছে বেশকিছু পাটকল, টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিল। বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা।

লালমাই পাহাড়, ময়নামতির বিহার ঘিরে সম্ভাবনা জেগেছে পর্যটনের। পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও আবাসনের সংযোগ ঘটালে আরও বিনিয়োগ বাড়তে পারে এ খাতে। গ্রামীন অর্থনীতির বড় বিনিয়োগ মৎস্য, পোল্ট্রি ও কৃষিতে। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনায় সুষম অর্থনীতির স্বাদ পেতে পারবে প্রান্তিক মানুষ।