ডাকসুর বিবৃতিতে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর থেকে বিএনপির উচ্চ পর্যায় থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ‘বিক্রি হয়ে যাওয়া মস্তিষ্ক’, ‘ট্রেন্ডে গা ভাসানো’, ‘দাসী’, ‘পশ্চাৎপদ’ ইত্যাদি ঘৃণিত বিশেষণে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ফজলুর রহমান ঢাবিকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন, যা শিক্ষার্থীদের প্রতি তার চরম বিদ্বেষ এবং সামাজিক বিভাজনমূলক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অসাম্প্রদায়িক এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র। শত বছরের বেশি সময় ধরে এ প্রতিষ্ঠান ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও মতাদর্শ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে আসছে। এ ধরনের ঘৃণ্য ও বর্ণবাদী বক্তব্য শুধু শিক্ষার্থীদের অবমাননা নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি চরম অসম্মান।
আরও পড়ুন:
ডাকসু বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফজলুর রহমানকে তার দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নিন্দনীয় বক্তব্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সমাজের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভেদমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর শিক্ষার্থীদের মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যেকোনো বর্ণবাদী ও অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।





