সরকারপ্রধান বলেন, 'শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করে সরকার, নারী শিক্ষায় জোর দেয়ায় সব বোর্ডে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। ছাত্র সংখ্যা কম কেন তা খতিয়ে দেখতে হবে।'
তিনি বলেন, 'সরকারের নানামুখী উদ্যোগে শিক্ষার হার বেড়েছে। সময় উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার বেশিরভাগ বোর্ডে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ছাত্র কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্যদের অভিনন্দন। অকৃতকার্যদের সান্ত্বনা দিতে হবে। পরের বছর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি করে দিতে অভিভাবকদের আহ্বান জানাচ্ছি। ১৫ বছরে কারিগরিসহ স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে।'
তিনি আরও বলেন, শুধু মুখস্থ নয়, 'মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। খেলার মাধ্যমে শিক্ষা দিতে হবে। প্রতি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছে সরকার।'
দেশে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার বিদেশি মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (কারিগরি) ও দাখিল (কারিগরি) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।