দেশে এখন
শিক্ষা
0

শিক্ষা খাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি

বর্তমানে দেশে প্রাথমিকে প্রতি ৫ জনে একজন এবং মাধ্যমিকে প্রতি ৩ জনে একজন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৩.৯৫ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৩৫.৯৮ শতাংশ। এক পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, দারিদ্র্যতাসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবছর দেশের একটা বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। শিক্ষায় বাজেট বাড়িয়ে সেটি যথাযথভাবে খরচের মাধ্যমে ঝরে পড়ার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘শিক্ষায় ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এই আহ্বান জানান।

সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার প্রবন্ধে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে শিক্ষার বাজেট প্রসঙ্গ উঠে আসে। চলতি অর্থবছরে দেশে শিক্ষায় জিডিপি'র ১.৭৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়। যা এশিয়ার অনেক দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। মিয়ানমারে সে দেশের জিডিপি'র ২.২ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়, পাকিস্তানে ২.৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ২.৮ শতাংশ, ভারতে ২.৯ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩ শতাংশ, ফিলিপাইন্সে ৩.২ শতাংশ, আফগানিস্তানে ৪.১ শতাংশ, নেপালে ৫.২ শতাংশ এবং ভুটানে ৮.১ শতাংশ।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে জিডিপি'র অন্তত ৪ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। যা ২০২৬ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ করতে হবে। সঙ্গে এই বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘এখন যেখানে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, সেখানে দেড়শ’ টাকা উপবৃত্তি খুবই সামান্য। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে। ন্যূনতম ৫০০ টাকা উপবৃত্তি করার দাবি করেন তিনি।

এদিকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান বক্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষায় অবশ্যই বাজেট বাড়াতে হবে। সরকার সেদিকে অবশ্যই খেয়াল করবে। আর শিক্ষকদেরকে চাকরির ভালো একটা পরিবেশ না দিতে পারলে তাদেরকে ধরে রাখা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষকদের নিজেদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

এসময় তিনি যুগোপযোগী নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।