দুই বছরের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাবার পর থেকেই জোরেশোরে চলছে বিমানের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ।
তারই ধারাবাহিকতা গেলো ছয় মাসে প্রায় ৯০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি যুক্ত হয়েছে বিমানের জিএসই বিভাগে। আগামী ছয় মাসে আরও প্রায় দেড়শ' কোটির টাকার যন্ত্রপাতি যুক্ত হবে।
বুধবার নতুন যুক্ত হওয়া যন্ত্রপাতিগুলো কমিশনিং করে বিমান। সরেজমিনে দেখতে আসেন বিমান ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান। কমিশনিং কার্যক্রম উদ্বোধন করে বিমানের চেয়ারম্যান জানান, তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনকে সামনে রেখে পুরোদমে প্রস্তুত হচ্ছে বিমান। চালুর দিন থেকেই বিশ্বমানের সেবা দেয়া হবে।
বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, 'আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, আমরা করতে পারছি, করতে পারবো। প্যাসেঞ্জারের সমস্যা হয় ইমিগ্রেশন নিয়ে, কাস্টমস নিয়ে। বিমানের সার্ভিস নিয়ে তো সমস্যা হয় না।'
আর সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান জানান, বর্তমান টার্মিনালে স্বল্প সক্ষমতাতে বিমান গেলো ছয় মাসে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বেশ উন্নতি করেছে। তবে তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, 'বিমান এখন যথেষ্ঠ ভালো সার্ভিস দিচ্ছে বলে আমি মনে করছি। এবং ভবিষ্যতেও মনে হয় যে, থার্ড টার্মিনালে বিমান যথেষ্ঠ ভালো সার্ভিস দিবে। যেহেতু যে সমস্যাগুলো ছিল, সেটা থাকছে না।'