প্রতি অর্থবছরেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি মন্ত্রণালয় যে বাজেট বরাদ্দ পায়, তার সিংহভাগ খরচ হয় বিদ্যুতের পেছনে। আর জ্বালানির অন্যান্য খাতে নামেমাত্র। চলতি অর্থবছরে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং জ্বালানি বিভাগে এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে জ্বালানির পেছনে বাজেট বাড়ানো হবে। যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে, তাতে আড়াই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। তবে গ্যাস উত্তোলনের মাধ্যমে খরচের ২০ গুণ অর্থ উঠে আসবে।'
চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সৈয়দপুরের পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ চলছে, কুমিল্লা জোন ও খুলনা যশোরের নিয়ে ওয়েস্ট জোনে কিছু কাজ চলছে। সব মিলিয়ে সরকারের কাছ থেকে নেয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর বিদ্যুৎ জ্বলানি বিভাগ দেবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাজেট ৩৮ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা।'
নসরুল হামিদ বলেন, '৪৬টি গ্যাস ফিল্ড ও ১০০ কূপ খননের কাজ চলছে। একই সঙ্গে ২টি এলএনজি টার্মিনাল বাড়িয়ে ৪টি করা হবে। সব মিলিয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে গ্যাস সংকট পুরোপুরি সমাধানের চেষ্টা চলছে। এর বাজেট ধরা হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারের ওপর। চীনের কাছে জিটুজি পদ্ধতিতে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।'
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ভারত থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। মোট জ্বালানির আপাতত শতকরা ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য রাখতে চায় সরকার। ২০২৫ সাল থেকে অন্তত ৬ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ মোট বিদ্যুতে সঞ্চালন লাইনে যোগ হবে- এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন হবে। ৪-৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন হবে। ডলারের দাম অনেক বলে উৎপাদন খরচও বাড়ছে।'
এ সময় নসরুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, কয়েকটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে চীনকে সাথে রাখার ইচ্ছা রয়েছে, যার খরচ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে এ বিষয়টি উঠে আসবে।