দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ ক্ষেত্র সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কৈলাশটিলা। গ্যাস ফিল্ডটি ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানির মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়। তবে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে।
বিগত ছয় বছর আগে কূপটির উৎপাদন বন্ধ করলেও নতুন করে চলতি বছরের ১২ আগস্ট ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড।
তিন মাসের মাথায় খনন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় কূপে যে পরিমাণ গ্যাসের চাপ মিলেছে- তাতে দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) এমডি প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন গ্যাস প্রবাহ দেয়ার মতো একটা অবস্থা আমরা দেখেছি ওইসময়। আমরা পাঁচ দিন ধরে টেস্ট করে ফ্লেয়ারিং করেছি। প্রেসার ডিপ্লিশন দেখিনি বরং একটু ইনক্রিজ হতেই দেখেছি।’
৭৩ কোটি টাকা খরচে কাজটি করে দেশিয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। কূপটিতে প্রায় ২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে- যার বাজারমূল্য প্রায় তিন হাজার টাকা।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘পাঁচ মিলিয়ন হারে আগামী ১০ বছরের একটা স্টিমেট আমরা করেছি। এখানে ১০ বছর প্রোডাকশন হতে পারে। সেই ১০ বছরে ২০ বিসিএফ গ্যাস উৎপাদন হবে।’
তবে কূপটিতে পাইপলাইন সংযুক্ত থাকায় প্রোডাকশন টেস্টিং শেষে দ্রুত এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।





