সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।
সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে উত্তরবঙ্গেও দিকে ৩৩ হাজার ২৫টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ছয় লাখ ৪০ হাজার টাকা। অপরদিকে পশ্চিমপ্রান্ত থেকে সেতু পার হয়েছে ২০ হাজার ৬৮৩টি পরিবহন। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে সেতুতে যাত্রীবাহী বাস পারাপার হয়েছে ১২ হাজার ৮৭১টি, ট্রাক ১০ হাজার ৭৬০টি, ছোট-বড় পরিবহন ১৯ হাজার ৮৭২টি এবং মোটরসাইকেল পার হয়েছে ১০ হাজার ১০৫টি।
এর আগে গত বছর ২০২৩ সালের ২৭ জুন রাত ১২টার থেকে ২৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতুর ওপর দিয়ে পরিবহন পারাপার হয়েছিল ৫৫ হাজার ৪৮৮টি। ওই দিন টোল আদায় হয়েছিল তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। যানবাহন পারাপারের সংখ্যা বেশি হলেও টোল আদায় ছিল কম।
বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর ওরফে পাভেল বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৬ বছরে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ঈদযাত্রার আরও দুই দিন সেতুতে যানবাহনের চাপ থাকবে।’