পরিষেবা
অর্থনীতি
0

ভেড়ামারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ ঘোষণা

বিদ্যুৎকেন্দ্রে সোলার প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা

মেয়াদোত্তীর্ণ মেশিন ও ব্যয়বহুল হওয়ায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ৬০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এখানকার জনবল অন্য কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। একই কারণে ২ বছর আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল প্ল্যান্টের ১ ও ২ নম্বর ইউনিট।

১৯৭৬ সালে প্রথম উৎপাদনে আসে ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সে সময় ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু'টি ইউনিট থেকে উৎপাদন হতো ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ১৯৮০ সালে নির্মাণ করা হয় আরও একটি প্ল্যান্ট। তখন থেকেই এটি ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্ল্যান্ট হিসেবে পরিচিত হয়। সে সময় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সক্ষমতা কমে যাওয়া ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলোর তালিকায় পড়ে ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরে ২০২২ সালে বন্ধ হয়ে যায় ১ ও ২ নম্বর ইউনিট। সে সময় ইউনিটের কর্মরত ২০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে বদলি করা হয়, কিন্তু সচল ছিল তিন নম্বর ইউনিট।

তবে ২০২২ সাল থেকে তিন নম্বর ইউনিটটি থেকে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়নি। অথচ এখানে রক্ষণাবেক্ষণ ডিজেল খরচ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বাবদ ২০২৩ সালে সরকারের খরচ হয়েছে ৪ কোটি টাকা। আর ৪ বছরে প্ল্যান্টটিতে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার।

এ অবস্থায় ১৭ জানুয়ারি হঠাৎ ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করার মৌখিক সিদ্ধান্ত জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এমনকি মেশিনারিজ দ্রুত স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। যদিও এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মচারীরা।

কর্মচারীরা বলেন, ‘কারো সহযোগিতা ছাড়াই এখান থেকে আমরা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে পারি। কিন্তু জানি না, কী কারণে ঐতিহ্যবাহী এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি বন্ধ করা হলো।’

ভেড়ামারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হলেও এখানে ৮ মেগাওয়াটের সোলার বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।'

১৯৮০ সালের ১৯ জানুয়ারি জাপানের হিটাচি কোম্পানি ২০ মেগাওয়াটের তৃতীয় এই ইউনিটটি চালু করেছিল।