দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি পুরানো ও আয়র্বধক টার্মিনাল পরিচালনায় বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় টার্মিনাল অপারেটরদেরকে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় আগেই। তবে এ নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত ও শ্রমিক অসন্তোষ।
আজ (বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও কাস্টম হাউসের অকশন শেড পরিদর্শনে এলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের তোপের মুখে পড়েন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করে শ্রমিক দলের কর্মীরা । এ সময় হাসিনার করা সব চুক্তি বাতিল এবং এনসিটি ও সিসিটি বিদেশি অপারেটরকে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়। যদিও দেশের ও শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী কিছু হবে না এমন আশ্বাস পথ ছাড়েন তারা।
এরপর কাস্টস হাউসের নিলাম গোলা, বন্দরে নতুন কার শেড ও সার্ভিস জেটি পরিদর্শনের শেষে ব্রিফিংয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘ছয় মাসের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান কঠিন হওয়ায় আপাতত সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এনসিটিতে বর্তমান অপারেটরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ছয় মাস। আগস্টেই বে টার্মিনালের স্রোতরোধী প্রাচীর নির্মাণ ও চ্যানেল খননে বিশ্বব্যাংকের সাথে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চুক্তি হবে।’
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ৬৫০ মিলিয়নের বিনিয়োগ আছে এখানে। বিশেষ করে চ্যানেল তৈরি করা এবং বে কোয়ার্টার সেখানে আমার কাছে মনে এটা হবে সর্ব বৃহৎ বিনিয়োগ।’
২০৩০ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর কাজ শুরু করবে জানিয়ে তিনি জানান, পতেঙ্গার লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি পানগাও ইংল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল অপারেশনে বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্কের মার্যেস্ক লাইন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দরকেন্দ্রিক প্রচুর বিনিয়োগ আসছে বিশেষ করে বে টার্মিনাল, লালদিয়া ও এমনকি লালদিয়ার পাশে আরো একটি নেয়ার কথাও বলেছে। আশা করি আমরা আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও অন্যান্যদের সঙ্গে একটা চুক্তি হবে।’
টেকনাফের ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের যাই হোক রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইন রাজ্যের সাথে সুসম্পর্ক থাকবে।’