বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক খাতে কাজ করছে উল্লেখ করে মার্টিন রাইসার বলেন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জন্য তাদের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। জানান, চলতি অর্থবছরের জন্য দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক। এ অর্থ বাজেট সহায়তার পাশাপাশি বড় বড় প্রজেক্ট ও জ্বালানি খাতে সহায়তা করা হবে।
এসময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংক ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনসহ জ্বালানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য এবং বাজেট সাপোর্ট হিসেবে ঋণ দিবে বাংলাদেশকে। বন্যার ক্ষতি নিরূপণ করে সেখানে আর্থিক সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে তারা।
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের সন্তুষ্ট জানিয়ে এই দাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন খাতে কাজ করতে আগ্রহী তারা।
গতকাল (বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর) দু'দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান মার্টিন রাইজার। সফরে মার্টিন রাইজার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দেশ স্বাধীনের উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংকই প্রথম সহায়তা করেছিল। এখন পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ৪৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) অধীনে সবচেয়ে বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত মাসে শপথ নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন রিজার্ভ ধরে রাখতে ও বিপর্যস্ত অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে বহুপাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে অর্থ চাইছে, ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশ সফরে এলেন মার্টিন রাইজার।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে তিন বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।