বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, 'মিয়ানমার ইস্যুতে প্রয়োজনে সেই দেশের সরকার ও আরাকান আর্মির সাথে চীন সরকার আলোচনা করবে বলেও জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিনদিনের চীন সফরে সবার নজর ছিল চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের দিকে। যে বৈঠকটি গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত হয় চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায়।
বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর ও বিস্তৃত করার অঙ্গীকার করেন দুই নেতা। বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে চীন সরকারের সকল সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানান।
বৈঠক পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশকে বিনা সুদে ঋণ দেয়াসহ আর্থিক অন্যান্য খাতে সহযোগিতা করতে খুব শিগগিরই চীনা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহ্বান করেছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে রোহিঙ্গা ও মায়ানমার ইস্যুতে প্রয়োজনে সেই দেশের সরকার ও আরাকান আর্মির সাথে আলোচনার কথা জানান শিং জিনপিং।
বৈঠকে পায়রাবন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা-বেইজিং সরাসরি বিমান চলাচলের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
সফরের সকল কর্মসূচি সম্পন্ন করে আজ রাত ১০টায় বিমান বাংলাদেশের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।