২০১৯ সালের এপ্রিলে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত মিটারগেজ রেল লাইনকে ডুয়েলগেজে রুপান্তরে নেয়া হয় প্রকল্প। ২০২৫ সালে এ প্রকল্প শেষ হবার কথা থাকলেও কোনো ধরণের ভৌত কাঠামো নির্মাণ এগোয়নি গত ৩ বছরে। মন্ত্রণালয়কে ২০ শতাংশ খরচ কমিয়ে আনার কথা বলা হলে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায় চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এমন প্রায় ছয়টি প্রকল্প আটকে আছে রেলের। তবে আশার কথা চট্টগ্রামের কালুরঘাট পয়েন্টে কর্ণফুলীতে রেল ও রোড নির্মাণ প্রকল্পে হাত বাড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও রেল মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৮১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
২০২৩-৩০ মেয়াদের এই প্রকল্পে ৯০.৮৮ মিলিয়ন ডলারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি যুক্ত থাকবে। অবকাঠামো উন্নয়ন-ইডিসিএফের ৭২৪.৭৩ মিলিয়ন ডলারের সুদের হার দশমিক ০১ শতাংশ ও ইডিপিএফ ১ শতাংশ হারে ৪০ বছর ও ৭ বছরে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'কোরিয়া আগামী ৫ বছরে আমাদের অনেক প্রকল্পে সহযোগিতা করবে। আমরা আরও একটা লাইন পেলাম। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।'
অন্যদিকে দ্রুতই কালুরঘাট প্রকল্পে অর্থছাড় পাওয়া যাবে বলে জানান রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, 'সিলেট-আখাউড়া রেল লাইনের কাজ খুব দ্রুত শুরু করতে পারবো বলে আশা করি। এ নিয়ে কথাবার্তাও হচ্ছে। এই অর্থবছরেই কাজ করতে পারবো।'
তবে অবকাঠামো ছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও লজিস্টিকসে বিনিয়োগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।