দেশের আর্থিক খাত নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তথ্য অনুসারে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাচার হয়েছে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বা ২৮ লাখ কোটি টাকা।
দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আর্থিক খাতের রাঘববোয়াল আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এই পাচারের সঙ্গে জড়িত। যার প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বেশকিছু দেশ।
আজ (শুক্রবার, ১১ এপ্রিল) অর্থ পাচার নিয়ে সম্মেলন ও প্রশিক্ষণে চট্টগ্রামে আসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, দেশে কয়েকটি পরিবার ও গোষ্ঠী বিপুল টাকা পাচার করেছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিভিন্ন দেশে থাকা সে সম্পদ জব্দ করবে সরকার।
সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে বিদেশি কিছু সংস্থা পাচার হওয়া সম্পদ অনুসন্ধান ও নিরূপণ করছে। কারা কোথায় কীভাবে সম্পদ জমা করেছে তা তালিকা করা হচ্ছে।
গভর্নর বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সাথে আমরা আলাপ করেছি। আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা এইসব অ্যাসেটকে ফ্রিজ করতে পারি। তাহলে কোর্টের মাধ্যমে মামলা করে তারপরে হয়তো অ্যাসেটকে ফেরত আনতে পারবো।’
এসময় গভর্নর বলেন, দেশে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে ২৬-২৭ শতাংশ, বেড়েছে রপ্তানিও, রিজার্ভ জমা হয়েছে চার মাসের। শুধু মূল্যস্ফীতি এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামেনি, যা আগামীতে আরো কমবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'সাড়ে ১৪ শতাংশ থেকে গত মাসে এইটা ৮ শতাংশের থেকে একটু বেশি আছে।'
গভর্নর বলেন, 'বর্তমানে বিদেশি সংস্থাগুলো পাচার হওয়া সম্পদ অনুসন্ধান ও নিরূপণ করছে। কারা কোথায় কীভাবে সম্পদ জমা করেছে তা তালিকা করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ, রপ্তানি বাড়ছে, রিজার্ভ জমা হয়েছে চার মাসের। সার্বিক আর্থিক খাত নিয়ে আমরা স্বস্তির মধ্যে আছি। শুধু মূল্যস্ফিতী এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামেনি, যা আগামীতে আরো কমবে।'
তিনি আরো বলেন, 'বিদেশে টাকা পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার চাইতে অর্থ পাচার বন্ধ করা জরুরি। সেজন্য প্রয়োজন আইন সংস্কার করবে সরকার।'