থাইল্যান্ড সফরের তৃতীয় দিনে দুই প্রধানমন্ত্রীর এই শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতাসহ পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর হয়েছে।
এর আগে সকালে ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজ কার্যালয়ে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। সেখানে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেজে ওঠে দুই দেশের জাতীয় সংগীত। পরে থাইল্যান্ডের সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদর্শন করেন।
এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাখা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। পরে দুই পক্ষের প্রতিনিধি দল নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন দুই নেতা। যে আলোচনার পর দু'দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্তত পাঁচটি ইস্যুতে সমঝোতা স্বাক্ষর হয় থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে।
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিআইডি
পরে যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সরকারপ্রধান বলেন, বিমসটেকসহ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা প্লাটফর্মে একসঙ্গে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে দুই দেশের। বিশেষ করে শিল্প গড়তে চাইলে থাইল্যান্ডকেও জায়গা দিতে চায় বাংলাদেশ। এমন প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোয় থাইল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গতকাল ব্যাংককে চলমান জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। ইউএসক্যাপের ওই অধিবেশনে আঞ্চলিক অস্থিরতা প্রশমন, যুদ্ধ বন্ধে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
সাতদিনের এই সরকারি সফর শেষে আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।