ঈদকে ঘিরে শেখেরচর বাবুরহাটে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কেনাবেচা বেড়েছে দ্বিগুণ। শাড়ি, লুঙ্গি, থান কাপড় ও থ্রিপিসসহ সকল প্রকার দেশিয় কাপড় কিনতে প্রতি বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করছেন পাইকাররা। ঈদকে ঘিরে পাইকারদের বিনিয়োগ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সকল প্রকার কাপড়ের দাম বেড়েছে।
পাইকাররা বলেন, সারা বছরেই আমরা এখান থেকে কেনাকাটা করি। তবে ঈদ মৌসুমে আমরা একটু বেশি করি। কারণ কাস্টমারের চাহিদা বেশি থাকে। এখানে সকল ধরনের পোশাক পাওয়া যায়।
নিত্য নতুন কাপড়ের সমাহার নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। কাপড়ের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলছেন ডলার সংকট, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কথা। উৎপাদন খরচ বাড়ার পাশাপাশি কাপড়ের দাম বৃদ্ধিতে আশানুরুপ কেনাবেচা হচ্ছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের।
তারা বলেন, ৯০ টাকার ডলার এখন ১২২ টাকা। ডলারের কারণে হওয়া বাড়তি দামটা এখনো কমে নাই। কাপড়ের ব্যবসা জুয়ার মতো হয়ে গেছে। এই বাড়ে আবার এই কমে যায়। একবার বাড়লে সহজে কমে না। সব জেলার পাইকাররা আমাদের এখানে আসে।
এদিকে ঈদের হাটে ৫ হাজার দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের৷ যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। কর্মচারিরা আয় করছে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত৷
ঈদের বাজারে লেনদেন বাড়ে দ্বিগুণের বেশি। লেনদেনে সর্বোচ্চ নিরাপত্ত্বার আশ্বাস দিচ্ছে বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল বারিক। বলেন, 'নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করি। আমাদের নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে থাকি।'