নিজেই কিছু করার আশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে ৪ বছর আগে গ্রামে ফিরে যান আহসান হাবিব। গড়ে তোলেন পাপোশ তৈরির কারখানা, যার শুরুটা হয়েছিলো একটি মেশিন ও ৪ কারিগর দিয়ে। এখন এই কারখানায় কাজ করছেন ৭২ জন নারী-পুরুষ। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে প্রায় ১ হাজার পাপোশ ও দেড় হাজার টেবিল ম্যাট।
হাবিবের এই সফলতা দেখে এলাকায় এমন আরও ৭টি কারখানা গড়ে উঠেছে। আর এই ৮টি কারখানা থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে লাখ টাকারও বেশি পণ্য। এগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোরসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করা হয়। তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বলছেন কাঁচামালের দাম বাড়ায় কমেছে লাভের পরিমান। তাই স্বল্পসুদে ঋণসহ সরকারি সহায়তার দাবি তাদের।
উদ্যোক্তারা বলেন, 'আগে যে কাঁচামাল ৭০ টাকা কেজি ধরে কিনতাম এখন তা কিনছি ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। কাঁচামাল বেশি দামে কিনলেও পণ্যের দাম পাচ্ছি না আমরা।'
প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এসব পাপোশ কারখানায়। দিনে সাড়ে তিনশ' থেকে পাঁচশ' টাকা মজুরিতে তাদের পরিবারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।
পাপোশ তৈরিতে ব্যস্ত কারখানার নারী শ্রমিকরা
শ্রমিকরা বলেন, 'দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পাই এটা দিয়ে সংসার খুব ভালো চলতাসে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাইতে পারতেসি।'
সম্ভাবনার এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে কারিগরি প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক শামীম আক্তার মামুন। বলেন, 'ইতিমধ্যে আমরা তাদেরকে ঋণের আওতায় নিয়ে আসছি। যদি কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় তাহলে বিসিক তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে পারে। দেশের বাইরে বাজার তৈরি করতে চাইলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিসিক তা করবে।'
উদ্যোক্তারা বলছেন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না কারখানাগুলোর সক্ষমতার পুরোটা। আর তাতে কমে গেছে উৎপাদনও। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি তাদের।