নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজে পণ্য পরিবহনের সেবা চালু হয়। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আসে জাহাজটিতে। এরমধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার। বাকিগুলো আসে আমিরাত থেকে। এবার আসছে ৮২৫টি একক কনটেইনার। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসছে ৬৭৫টি, বাকিগুলো দুবাই থেকে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোডা অ্যাশ, চিনি, আলু, খেজুর, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, চুনাপাথর, লুব্রিকেন্ট।
আগে তৃতীয় দেশের বন্দর ঘুরে আসায় পণ্য আনার সময় ও ব্যয় দুটোই বেশি হতো। এখন সরাসরি জাহাজ আসায় ব্যয় সাশ্রয় হবে। কমবে পণ্যের দামও। পণ্যের চাহিদা বাড়লে আগামীতে জাহাজের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সরাসরি পণ্য আসায় আমাদের আমদানিকারকরা দ্রুত পণ্য হাতে পাচ্ছে। এতে সময় ও জাহাজ ভাড়া কমে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এইটা ভালো এতে পণ্যের দামের উপর প্রভাব পড়বে।’
প্রথমবার পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি জাহাজ আসার খবরে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও বেশ ফলাও করে খবর প্রচার হয়।
এমনকি পাকিস্তান থেকে জাহাজে অস্ত্র আনা হয়েছে বলেও গুজব ছড়ানো হয় স্যোশাল মিডিয়ায়। যদিও কাস্টম কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেই জানিয়েছে, যে দেশ থেকেই আসুক পণ্য স্ক্যানিং ও বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে পণ্য খালাসের অনুমতি পায়। এছাড়া স্বরাষ্ট্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া অস্ত্র আনার সুযোগ নেই বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘শুধু পাকিস্তানের জাহাজ না সবগুলো জাহাজ স্ক্যান করা হয় এরপর খালাসের অনুমতি পায়।’
কনটেইনার নামিয়ে ফিরতি পথে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ২শ একক কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান, মালয়েশিয়ার পোর্টকেলাং ও ভারতের মুন্দ্রা বন্দর হয়ে আমিরাতের জেবেল আলী বন্দরে পৌঁছাবে। জাহাজটি ৩৮ থেকে ৪২ দিন অন্তর একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে।