আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে খোলা পণ্যের হ্যান্ডলিং

চট্টগ্রাম

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে কার্গো বা খোলা পণ্যের হ্যান্ডলিং। বন্দরে ভারি শিল্প সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল, পাথর, কয়লা আমানির শীর্ষে থাকলেও বর্তমানে পাল্টেছে চিত্র। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন শিল্প মালিকরা। শিপিং এজেন্টরা বলছেন, ব্যাংকের তারল্য সংকট ও পাওনা পরিশোধ না করায় সহজে পণ্য আমদানি করতে পারছেন না তারা।

চট্টগ্রাম বন্দর বছরে প্রায় প্রায় ১৩ কোটি মেট্রিক টন কার্গো বা খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং করে। মূলত ভারি শিল্প সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল সিমেন্ট ক্লিংকার, রড তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপসহ পাথর, কয়লা থাকে আমদানির শীর্ষে। যদিও গেল কয়েক মাসে চিত্র পাল্টেছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারের পট পরিবর্তনের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক অনিশ্চতায় বিক্রি কমে যাওয়ায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন শিল্প মালিকরা।

সেই সঙ্গে সরকারি মেগা প্রকল্পগুলোর কাজও চলছে সীমিত পরিসরে। হচ্ছে না গ্রামীণ অবকাঠামো, সিটি করপোরেশন এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার। স্থবিরতা বিরাজ করছে আবাসন খাতেও। এ অবস্থায় রড সিমেন্টের বিক্রি কমে যাওয়ায় কমেছে উৎপাদন। এ অবস্থায় উৎকন্ঠায় আছেন শিল্প মালিকরা।

প্রিমিয়ার সিমেন্টের মহাব্যবস্থাপক গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'এ বছর হয়তো একটা নেগেটিভ গ্রোথ থাকতে পারে। পর পর যদি নেগেটিভ গ্রোথ চলতে থাকে তাহলে সেটা কিন্তু মার্কেটের জন্য ভালো না। সবসময় একটা গ্রোথ থাকতে হবে। না হলে ডিমান্ড এবং ক্যাপাসিটির যে ইউটিলাইজেশন, সেটা কিন্তু হবে না।'

শিপিং এজেন্টরা বলছেন, ভারি শিল্পের কাচামাল ও গমসহ বেশ কিছু পণ্যর জাহাজ আসাও কমেছে। ব্যাংকে তারল্য সংকট ও বিক্রেতারা পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত পণ্য ডেলিভারি না দেয়ায় আমদানিকারকরা আগের মতো সহজে পণ্য আমদানি করতে পারছে না। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে আমদানিতে।

আকিজ শিপিং লিমিটেডের মিজানুর রহমান বলেন, 'সিমেন্টের কাঁচামালগুলো নিয়ে কাজ করি। সেক্ষেত্রে আগে প্রতিমাসে যেমন আট থেকে নয়টা জাহাজ আমদানি করতাম। এখন জাহাজ কমে কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। এখন তিন বা চারটার বেশি জাহাজ হচ্ছে না।'

যদিও বন্দর কতৃর্পক্ষ দাবি করছে, বিরূপ আবহাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কার্গো বা খোলা পণ্যের হ্যান্ডলিং কিছুটা কমেছে। যদিও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টিইইউস।

চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, 'আমাদের এখন বর্তমানে জাহাজের সংখ্যা আউটারে এবং ইনারে পর্যাপ্ত জাহাজ আছে। সেগুলো খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের জেটিতে চলে আসবে।'

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় ২৪ লাখ ৪১ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। আর কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে প্রায় নয় কোটি ২০ লাখ টন। কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর