চীনের পর দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। যা মোট আমদানির ১৮ শতাংশ। আমদানিকৃত এসব পণ্যের মধ্যে বেশি আসে পেঁয়াজ, আদা, জিরা, শুকনো মরিচ, হলুদসহ মসলা জাতীয় নানা পণ্য।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জ। এখানকার কয়েক হাজার আড়তে প্রতিদিন লেনদেন হয় দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য। যার অন্তত ৩০ শতাংশ বা ৪৫০ কোটি টাকার পণ্যই ভারতের। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হঠাৎই এ বাণিজ্যে ভাটা পড়ে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে আবারো বাড়ছে আমদানি।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আমরা দেখছি পেঁয়াজ আসতেছে এখানে সাপ্লাইয়ের কোনো সমস্যা দেখছি না।’
তবে খাতুনগঞ্জের সার্বিক আমদানির চিত্র এখনো স্বাভাবিক হয়নি, বেচাকেনাতেও পড়েছে ভাটা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাপ্রাপ্ত বেশ কিছু বড় গ্রুপের প্রতিনিধিরাই বাজারে পণ্য সরবরাহ করতো। তবে এখন তারা আত্মগোপনে থাকায় কমেছে পণ্য সরবরাহ। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম।
খাতুনগঞ্জ আড়ৎদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্ল্যাহ জাহেদী বলেন, ‘বড় কোম্পানিগুলো আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। বাজারের ঘাটতি পূরণ করতে ছোট বড় আমদানিকারকদের সুযোগ করে দিতে হবে।’
এছাড়া ব্যাংক থেকে এলসি খুলতে মার্জিন তুলে দেয়ার কথা বলছে সরকার। তবে, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এলসি খুলতে এখনো শতভাগ মার্জিন দাবি করছে ব্যাংক। এরই মধ্যে ৭ থেকে ৮টি ব্যাংকে তারল্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে স্বাভাবিক লেনদেন করতেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জ আল হেরামাইন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জাকের সওদাগর বলেন, ‘ব্যাংকগুলো এলসি দিচ্ছে না। হাতেগোনা কয়েকটা ব্যাংক এলসি খুলতে দিচ্ছে।’
এলসি করতে বিভিন্ন ব্যাংক এখনও ডলারের মূল্য নিচ্ছে প্রায় ১২০ টাকা। এতে বাড়তি মূল্যে পণ্য আমদানি করতে অনীহা প্রকাশ করছেন অনেক আমদানিকারক।