সত্তরের দশকে যশোরের আরএন রোডে শুরু হয় গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা। তখন চিত্রা মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, নিউমার্কেট ও রেলগেট এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু দোকান ছিল। নব্বইয়ের দশক থেকে ব্যবসার সম্প্রসারণ হতে থাকে। পরবর্তীতে ২০০০ সালের দিকে আরএন রোডে স্থায়ীভাবে ব্যবসার প্রসার শুরু হয়। মোটরসাইকেল, মোটরগাড়ি ও কৃষি যন্ত্রাংশের অন্যতম বড় মোকামে পরিণত হয় এলাকাটি। বর্তমানে এখানে দুই হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কর্মচারীর।
প্রথম দিকে ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে যন্ত্রাংশ এনে চলত ব্যবসা। বর্তমানে প্রায় আড়াইশ' আমদানিকারক ভারত, চীন, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ব্র্যান্ডের যন্ত্রাংশ আমদানি করছেন। এসব গাড়ির যন্ত্রাংশ ঘিরে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে এখানে।
মোটর সাইকেলের ব্যবহারকারি বাড়ায় এ খাতে ব্যবসায়ের বাজার বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সারা দেশে মোটর পার্টসের চাহিদার ৬০ শতাংশ যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেন যশোরের ব্যবসায়ীরা। তাদের তথ্যমতে দেশব্যাপী রিকন্ডিশনড মোটর যন্ত্রাংশ সরবরাহে ঢাকা, চট্টগ্রামের পরই যশোরের অবস্থান, থ্রি ও ফোর-হুইলারের খাতে চতুর্থ। গত ৫ বছরে বেনাপোল দিয়ে মোটর পার্টস আমদানি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার।
ব্যবসায়ীরা জানান, 'যে দামে তারা পণ্য বিক্রি করছেন সে দামে কিনতে পারছেন না। তাই ব্যবসায়ের অবস্থা নাজুক।'
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক মো: রেজাউল করিম,'ভারত থেকে আমদানিকৃত গাড়ি ও মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশের বিধি মোতাবেক কাস্টমস কর্তৃক শুল্ক নির্ধারিত হয়। এবং এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী শুল্ক আদায় করা হয়।'
তবে ডলার সংকটে এলসি করতে না পারায় বিপাকে আমদানিকারকরা। অন্যদিকে পার্টসের দাম বাড়ায় কমেছে বেচাবিক্রিও।
যশোরে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় মোটর পার্টস উৎপাদনে সরকারের নজর দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।