সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ১৩টি স্থলবন্দর রয়েছে। যেখান দিয়ে মূলত পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয়। আর রপ্তানি পণ্যের তালিকায় আছে খাদ্য সামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য, কাঠের বিভিন্ন জিনিসপত্র, সিমেন্ট ও ইলেকট্রিক পণ্য।
সিলেটের তামাবিল, ভোলাগঞ্জ, শেওলা, সুতারকান্দি, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া, চারাগাঁও, ইছামতী ও চেলা স্টেশনসহ সিলেট বিভাগের ১৩টি শুল্ক প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। কিন্তু, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনে স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানি কমে যায় অস্বাভাবিকভাবে। ইন্টারনেটের অভাবে ব্যাহত হয় লেনদেনও।
সিলেট তামাবিলের পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, 'পণ্যগুলো স্টক করে রাখতে হচ্ছে। আমাদের জায়গার স্বল্পতার জন্য পণ্যগুলোও ঠিকভাবে রাখতে পারছি না।
সিলেট তামাবিলের পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হোসেন বলেন, 'ব্যবসায়ীরা খুব নাজুক অবস্থায় আছে এখানে। প্রায় লক্ষাধিকের ওপর শ্রমিক আছে। মালামাল আসলে তারা বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এখন ব্যবসাবাণিজ্য একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে।'
আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে পাথর লোড-আনলোড, ক্রাশিং ও পরিবহণের সাথে জড়িত লাখো শ্রমিক। আয় কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে নানা সংকটে পড়ে তারা।
একজন শ্রমিক বলেন, 'আগে সারাদিনে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক পণ্য আসতো। এখন সারাদিনে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক পণ্য আসে।'
ব্যবসায়ীদের দাবি, চলমান পরিস্থিতিতে শুধু সিলেটের স্থলবন্দর এলাকার ব্যবসায়ীদের দৈনিক ক্ষতি হয় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, '১৩টি বর্ডার দিয়ে আমাদের প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা আমদানি-রপ্তানি হয়। অনেকসময় এর থেকে বেশিও হয়। সেখানে এখন প্রতিদিন এ টাকাটা লস হচ্ছে।'
তবে, ১০ দিন পর রোববার (২৮ জুলাই) দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেটের ফোরজি সেবা চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ধীরে ধীরে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা তাদের।