ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, '২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪১৫.৩২ মিলিয়ন এবং ৫.৩১ বিলিয়ন ডলার।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল হলো যুক্তরাজ্যের বাজার। এছাড়াও সেদেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩.০৪ বিলিয়ন ডলার। ফাইন্যান্স, স্বাস্থ্যসেবা, ফিনটেক, বিপিও, বিপিএস, পর্যটন এবং শিক্ষাখাতে দু'দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি জানান, টেকনিক্যাল নো-হাউ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়ন, আর্টিটেকচার এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে যৌথ বিনিয়োগের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরে সরকারি পর্যায়ের উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবি জানান আশরাফ আহমেদ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, 'অর্থনৈতিক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে যুক্তরাজ্য অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য। তবে এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশেকে তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, 'কৃষি, সি-ফুড, চামড়াজাত পণ্য এবং হালকা-প্রকৌশল বিশেষ করে বাইসাইকেল প্রভৃতি পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান বাজায়ে রাখার ওপর অধিক হারে মনোনিবেশ করতে হবে।'
এ সময় ডিসিসিআই সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। —সংবাদ বিজ্ঞপ্তি